মনির হোসেন : নিরবে নিভৃতে অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সহ-সভাপতি, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা যখন পরিবারের সদস্যদের মুখে দুবেলা-দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে দিশেহারা তখন এই মানুষটি অভুক্ত মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ। তাছাড়াও বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকেও খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করছেন। সবকিছুই করছেন নিরবে নিভৃতে।
শুধু তাই নয়, খোজখবর নিচ্ছেন তাদেরও যারা কখনোই মুখ লজ্জার ভয়ে মানুষের কাছে হাত পাততে পারেন না সেসকল মধ্যবিত্ত পরিবারের। তিনি কখনো বিকাশে, কখনো স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে আবার কখনো বাড়িতে ডেকে এনে ওইসব মধ্যবিত্ত পরিবারের হাতে তুলে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ।
করোনা মহামারীতে দেশের অভ্যন্তরে যে দূর্যোগ ও সংকট দেখা দিয়েছে তা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবি ও এনজিও সংস্থা মানুষের পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও কেউ কেউ আবার ফটোসেশন নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যতিক্রম একজন সাদা মনের মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।
যিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়ার পাশাপাশি নগদ অর্থ প্রদান করেন।
মানুষের সুখ-দুঃখের কান্ডারীতে পরিণত হয়েছেন সমাজসেবক ও গরীব-দুঃখী মানুষের পরম বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। মানুষের কল্যাণে কাজ করা এই মানুষটি কিন্তু কোথাও একটি ফটোসেশনও করেননি।
এই প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, আল্লাহকে রাজীখুশি করার জন্যেই আমি আমার পক্ষ থেকে এসব মানুষের জন্য সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আল্লাহর ইশারা ছাড়া কেউ কিন্তু কিছুই করতে পারেনা। চোখের সামনে যখন এসব মানুষের মুখগুলো ভেসে ওঠে। তখন আমাকে ভীষণভাবে তাড়িত করে তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য। আমি আমার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষের জন্য করে যাচ্ছি এবং করে যেতে চাই।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...