সোলেমান মিয়া, দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রবাস থেকে ছুটিতে গ্রামে আসে। গ্রামে আসার পর সে উপলব্ধি করতে পারে, পরিবার, সমাজ, আত্নীয় স্বজনদের প্রতি তার অবদান কতটুকু। সমাজে সন্মান পেতে হলে , শুধু বয়স বাড়লেই হয় না, তার সাথে প্রয়োজন মোটা অংকের টাকার।
তেমনই এক চমৎকার গল্প নিয়ে, চ্যানেল আইয়ের জন্য সম্প্রতি শুটিং সম্পন্ন হলো, ‘অবাদন’ নামের টেলিভিশন কাহিনীচিত্রটির। গত ঈদে, ‘বাবারা সব পারে’র ব্যাপক সাফল্যর পর আবারো পাপ্পু রাজের রচনায়, গল্প প্রধান নাটকের অন্যতম গুনি নির্মাতা এস এম কামরুজ্জামান সাগর নির্মাণ করলেন জীবন বোধের এই টেলিভিশন কাহিনীচিত্র। পূবাইলের মনোরম পরিবেশে এই কাহিনীচিত্রটিতে অভিনয় করেছেন- ফজলুর রহমান বাবু, সাইকা আহমেদ, মিষ্টি জাহান, শিবলী নওমান, সাজ্জাদ স্বপন, হাসি মন প্রমুখ।
গল্প প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, সাগরের নির্মাণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই, কেননা তার গল্প বাছাই খুব সুন্দর হয়। আর সেক্ষেত্রে পাপ্পু রাজ খুব চমৎকার ভাবে চিত্রনাট্য লিখেছে। এছাড়াও গুছানো একটি ইউনিটে কাজ করে খুব ভাল লেগেছে আমার। নিঃসন্দেহে ভাল একটি কাজ হয়েছে। সাইকা আহমেদ বলেন, সাগর ভাইয়ের কাজ মানেই চমৎকার আবহে একটি অর্থবহ মেসেজ দেয়া। যা তিনি খুব সুনিপুন ভাবে দিতে জানেন।
মিষ্টি জাহান বলেন, গল্পে আমি ফজলুর রহমান বাবু ভাইয়ের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটি করে আমি খুব তৃপ্তি পেয়েছি। এটা সাগর ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম কাজ। কাজটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।
শিবলী নওমান বলেন, এক কথায় আমার কাছে পুরো ব্যাপারটাই দারুণ লেগেছে। গুনি মানুষদের সানিধ্যে কাজ করতে পারলে, অনেক কিছু শেখা যায়। যেমন গল্প, তেমনই দক্ষতার সাথে নির্মাণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। কাহিনিচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন ১৯৫২ এন্টারটেইনমেন্ট’র কর্ণধার সাজু মুনতাসির।
‘অবদান’ টেলিভিশন কাহিনীচিত্রটি আগামীকাল ২৫ সেপ্টেম্বর, দুপর ৩:০৫ মিনিটে দেখা যাবে, চ্যানেল আইয়ের পর্দায়।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...