নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কোরবানীর পশুর হাটের শিডিউল ক্রয় নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। তখন পুলিশ ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ৮জনকে আটক করেছে। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় অবস্থিত সদর উপজেলা কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, বিএনপি নেতা লাভলু, হানিফা ও আরিফ সহ ১৫/২০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদরের গোগনগর ইউনিয়ন থেকে ৩০/৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সকালে উপজেলায় আসে। এরপর তারা কিছু লোক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশের কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। আর কিছু উপজেলা পরিষদের মাঠে অবস্থান নেয়। যারা হাটের শিডিউল ক্রয় করে বাহিরে বের হয় তাদেরই দেহ তল্লাশি করে শিডিউল রেখে দেয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিএনপি নেতা লাভলু ও হানিফা সহ ১০/১২জন ওই সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত হয়। এরপর বিকালে ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার আসেন উপজেলায়। তখন তার সামনে ওই সন্ত্রাসীরা উশৃঙ্খলতা করলে সে প্রতিবাদ করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকেও মারধর করেন। বিষয়টি রুহুল আমিন শিকদারের লোকজন জানতে পেরে তারা এসে ওই সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে কয়েকজনকে গণপিটুনী দেয়। তখন ওই সন্ত্রাসীদের মধ্যে কিছু পালিয়ে যায় আর ৮জন উপজেলা কার্যালয়ের অফিস কক্ষে আশ্রয় নেয়। এসময় পুলিশ তাদের আটক করেন। তাৎক্ষনিক আটককৃতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
একটি বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা উশৃঙ্খল ১২ আটককৃত যুবককে ছাড়াতে বেশ জোরে-সোরে তদবির চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত ১২ জন যুবক থানা হাজতেই ছিল।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সদরের ১৫টি পশুর হাটের শিডিউল বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে কিছু উশৃঙ্খল যুবকরা পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলেছে। ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। নাম পরিচয় জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...