নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন বিসিক এলাকার মেথরখোলা পার্কের আশপাশে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় এক পরিবারের তিন সদস্য ও এক প্রতিবেশী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের মাথায় ৭টি সেলাই দিতে হয়েছে এবং অন্য একজনের হাতের কব্জি ভেঙে গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মোঃ আলম (৪৪), পিতা- আ. লতিফ, সাং- শাসনগাঁও, বিসিক, খানা, ফতুল্লা, নিজে ফতুল্লা মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় মোস্তফা (৩০), পিতা- দিলীপ বাকুন ইসলাম; জাহিদ (৩৩), পিতা- অজ্ঞাত; মামুন (৩০), পিতা- অজ্ঞাত এবং আওয়ামী প্রজন্ম লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হাজী মোকলেসুর রহমান (৫৫), পিতা- মতিন প্রধানসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জন মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন।
গত ৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোঃ আলমের বড় ভাই আল-আমিন (৪৭) এবং তার ভাতিজা বাধন (২৪) অভিযুক্তদের মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করলে অভিযুক্তরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আল-আমিন ও বাধনকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। চিৎকার শুনে মোঃ আলম এগিয়ে গেলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাদের চিৎকারে মোঃ জিয়াউল হক স্বপন (৩৪) এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। হামলাকারীরা তার ডান হাত ভেঙে দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে খাঁনপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোঃ আলমের মাথায় ৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা প্রাণনাশ ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দিয়েছে। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফতুল্লা মডেল থানায় আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...