নারায়ণগঞ্জের কাগজ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের মাঝে প্রানচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সাধারণ নেতাকর্মীদের দাবী কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা নির্বাচন করবো। কোন পকেট কমিটি মেনে নেয়া হবেনা।
সভাপতি পদে ২ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
সভাপতি পদের প্রার্থীরা হচ্ছেন বর্তমান বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আফাজউদ্দিন ভূইয়া, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন প্রধান। সভাপতি পদ নিয়ে তেমন একটা আলোচনা না হলেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।চায়ের দোকান, মুদি দোকান, হোটেল রেস্তোরাঁ, সেলুনে চলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আলোচনা-সমালোচনা।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া, বর্তমান কমিটির দপ্তর সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শাহীন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ খোরশেদ আলম মাষ্টার।
সবাই নিজ নিজ বলয়ে কাউন্সিলদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা চলেছেন। সাধারন নেতাকর্মীদের দাবী কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা নেতা নির্বাচন চাই। যদি কোন অশুভ শক্তির মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয় আমরা মেনে নিবো না।
সম্প্রতি বক্তাবলী বাজারে আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচিতে কয়েকটি ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করা।৮নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। তেমনিভাবে ৬নং ওয়ার্ডের ঘোষিত কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে মেনে নিবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়।
বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রাণ হচ্ছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী শওকত আলী। উনি যার দিকে সুদৃষ্টি দিবেন তিনিই হবেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক। তার ইশারা ছাড়া কেউ নেতা হতে পারবেন না। তাই সাধারণ সম্পাদক পদের ৫ জন প্রার্থীই শওকত আলীর আর্শীবাদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সাধারণ নেতাকর্মীরা ভাবছেন দল পরিচালনা করতে অর্থের প্রয়োজন। কে পারবেন খরচ করতে তার হিসাব নিকাশ করছেন। ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে বাবুল মিয়াকে এগিয়ে রাখছেন তারা। বাবুল মিয়ার অনুসারীরা মনে করছেন বিগত দিনগুলোতে দলীয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলো জাকজমক ভাবে পালন করেছেন। যেকোন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার, লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। সভা-সমাবেশে অঢেল অর্থ ব্যয় করে লোক নিয়েছেন। এদিকে বিবেচনায় বাবুল মিয়া এগিয়ে রয়েছেন।
অপরপ্রার্থী কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, খোরশেদ আলম মাষ্টার, ইফতেখারুজ্জামান শাহীন অর্থনৈতিক ভাবে একটু দূর্বল থাকলেও তারা দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। বিশেষ করে কামরুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন ভাল বক্তা হিসেবে পরিচিত। কামরুল ইসলাম একবার সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন ছিলেন বিধায় নতুন কাউকে আনতে পারেন বা তিনিও আসতে পারেন। খোরশেদ আলম মাষ্টার বক্তাবলী স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ায় এদিকটা দেখছে নেতাকর্মীরা। বিয়ে সূত্রে বক্তাবলীর বাসিন্দা হয়েছেন। অপরপ্রার্থী ইফতেখারুজ্জামান শাহীন দীর্ঘদিন যাবত দলের পিছনে মেধা ও শ্রম দিয়ে আসছেন তিনি নির্বাচিত হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।
সবদিকে বিবেচনায় সাধারণ নেতাকর্মীরা চান কাউন্সিল। তার ব্যতিক্রম হলে বক্তাবলীতে হতে পারে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...