নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সাংবাদিকদের উপর নির্মম হামলার ঘটনায় স্থানীয় সালাউদ্দিন গ্রেফতার হলেও তার সহযোগী জাকির এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পরও প্রশাসনের চোখের সামনে অবাধে ঘুরে বেড়ানো এই অভিযুক্ত হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের ব্যর্থতা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
গত ৪ মে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনের সামনে মাসদাইর কবরস্থান এলাকায় দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাংবাদিক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও হাবিব খন্দকার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সালাউদ্দিন ও জাকির নামের দুই ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিকদের মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়, ক্যামেরা ও সরঞ্জাম ভাঙচুরের পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর ফতুল্লা থানায় ৩২৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু জাকির এখনও আইনের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাকির এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সাংবাদিক ও সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে। থানার পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতারে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের নাকের ডগায় তার এই তৎপরতা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
সাংবাদিক সমিতি ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত জাকিরকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা বলছেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। যদি অপরাধীরা এভাবে আইনের চোখে ধরা না-পড়ে, তাহলে ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, জাকিরকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। তবে, হাবিব খন্দকার অভিযোগ করছেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাই জাকিরকে সাহস জোগাচ্ছে।
এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত জাকিরকে গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ। পাশাপাশি, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ চাওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে।
সাংবাদিকদের রক্তে রঞ্জিত এই ঘটনায় ন্যায়বিচার না হলে অপরাধীদের স্পর্ধা আরও বাড়বে। প্রশাসনকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, নতুবা আইনের শাসন আর নাগরিক অধিকার প্রশ্নের মুখে পড়বে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...