নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেছেন, একজন শিক্ষার্থীকে সৃষ্টিকর্তা তার জন্মের সময় তাকে যেমন মেধা দিয়েছে, সেটিকে ঝালাই করতে হবে। সেই মেধাকে চর্চা করতে হবে। সে যেন ব্যক্তিত্ব গড়তে পারে। আমরা A+ পাওয়ার জন্য আমাদের সন্তানদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করাই। এটা আমাদের মোটেও উচিৎ নয়। রেজাল্টে ভুরি ভুরি এ প্লাস পেয়েও ভালো কোথাও সুযোগ পায় না। আমরা এমন A+ চাই না। একটি ভবন তৈরি করতে হলে আগে ফাউন্ডেশন দিতে হয়। প্রাথমিক শিক্ষা হলো বাচ্চাদের ভবন তৈরির ফাউন্ডেশনের মত। তাই একজন শিক্ষার্থীকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। সব কিছুর উপর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। মানুষের মত মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে ফতুল্লার কাশিপুর ১০৮ নং কদম আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা এমন সন্তান চাই না যে সন্তান বড় হয়ে বাবা মাকে দেখবে না এবং বাবা মাকে বুজবে না। আমরা এমন সন্তান চাই, যে সন্তান দেশ জাতির মঙ্গল বয়ে আনবে এবং বাবা মাকে সম্মান দিবে এবং বাবা মার খোজখবর নিবে। আমরা এমন সন্তান চাই যে সন্তান উচ্চ শিক্ষিত হয়ে মানুষের মত মানুষ হবে। তাকে নিয়ে যেন তার বাবা মা গর্ব করতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে দিতে হবে। তাদের মনে আনন্দ দিতে হবে। তাদের উপর বাড়তি চাপ দেয়া যাবে না।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইউএনও নাহিদা বারিকা বলেন, সারা বিশ্বে এখন করোনা ভাইরাসে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তার থেকে আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে। সব সময় ভাল ভাবে হাত ধুতে হবে। কখনো অপরিস্কার থাকা যাবে না।

অনুষ্ঠানে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল, সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল হক প্রমুখ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এমদাদুল হক খোকা, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, কাশিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্কুলের অভিভাবক সদস্য আছিয়া বেগম, আওয়ামীলীগ নেতা বশির আলম ফাতু, স্বপন বাবু, কবির দেওয়ান, হিমু দেওয়ান, সুমন, শ্যামল ও লাল মিয়া।