নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ১ হাজার পিছ ইয়াবাসহ ৫ মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার ( ২রা ফেব্রুয়ারী ) সিদ্ধিরগঞ্জর থানার উপপরিদর্শক মো.কামরুল হাসান পিপিএম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আদমজী সোনামিয়া মার্কেট থেকে ৮০০ পিস ইয়াবাসহ ৩জন এবং গোদনাইল আরামবাগ থেকে চিহিৃত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।
থানা পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয় যে, সিদ্ধিরগঞ্জর থানার উপপরিদর্শক মো.কামরুল হাসান পিপিএম,এমসআই ইলিয়াস হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে বের হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অঅদমজী সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো.হোসেন,মো.হানিফ ও ফয়সাল হোসেন নামে ৩জনকে অঅটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অপর এক অভিযানে গোদনাইল আরামবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল্লাহ’র ছেলে মো.মামুন ও হযরত আলীর ছেলে সোহেলকে ২০০পিস ইয়বাসহ গ্রেফতার করে। আটককৃত ৫ জনকে পৃথক মামলায় আদালতে প্রেরন করে থানা পুলিশ।
এদিকে গোদনাইল আরামবাগ থেকে ইয়াবাসহ আটক সোহেল উক্ত এলাকার হাবিবুর রহমান হবি’র ছেলে নামধারী যুবলীগ নেতা কাজি আমিরের একনিষ্ট কর্মী বলে জানান এলাকার সাধারন মানুষ। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিংয়েও কাজি আমিরের সাথে থাকে এ মাদক ব্যবসায়ী সোহেল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এশটি শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কাজি আমিরের পাশেই হাটছে শুক্রবারে ইয়াবাসহ থানা পুলিশের হাতে আটক সোহেলকে। যা নিয়ে এলাকাতে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরামবাগের শান্তিপ্রিয় সাধারন মানুষ বলেন, শুক্রবারে ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক মামুন ও সোহেল উভয়েই কাজি আমিরের সহযোগি হিসেবেই সুপরিচিত। তারা এলাকাতে মাদক বিক্রি ছাড়াও চুরি,ছিনতাইসহ বহু অপকর্মে লিপ্ত। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে আরামবাগের মানুষজন। শুধু মামুন ও সোহেলই নন তাদের সহযোগিদেরকেও অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান স্থানীয়রা। তাদেরকে গ্রেফতার করা হলে এলাকার সাধারন মানুষগুলো শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।
সহযোগী সোহেল ইয়াবাসহ আটক এ প্রসঙ্গে কাজি আমিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,একটা অনুষ্ঠানে আশেপাশে অনেকেই থাকে। কে ভালো কে মন্দ তা জানা নেই। তবে কে ধরা পড়লে সে বিষয়ে আমি কিছু জানিনা এবং তাকে চিনি না।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...