হিন্দু নারীরা কপালে টিপ পরে তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে। কিন্তু মুসলিম নারীরা? ফ্যাশনের কথা বলে অনেক মুসলিম মা-বোনও কপালে টিপ পরতে ভালোবাসেন। অথচ দীনের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে তারা হয়তো জানেন না, টিপ একটি বিশেষ ধর্মের পরিচায়ক ও সংস্কৃতির অংশ।
ইসলামের ইতিহাসে এই টিপ পরারও একটি ইতিহাস আছে। নবি হযরত ইবরাহিমকে (আ.) আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ যখন একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে তখন সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, কোনো মানুষের পক্ষে হযরত ইবরাহিমকে (আ.) সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হলো না।
এরপর অত্যাচারী নমরুদের নির্দেশে একটি চরকা বানানো হলো। যার মাধ্যমে হযরত ইবরাহিমকে (আ.) ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়। কিন্তু মহান আল্লাহর কুদরতি নির্দেশে রহমতের ফেরেশতাগণ চরকার একপাশে ভর করে থাকায় সেটি ঘুরানো যাচ্ছিল না। তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল- কিছু নগ্ন মেয়ে (পতিতা) এনে চরকার সামনে বসিয়ে দিতে; কারণ এমন জঘন্য পরিবেশে ফেরেশতাগণ থাকতে পারেন না।
শয়তানের অনুসারী নমরুদ তাই করল। তখন ফেরেশতাগণ চরকা ছেড়ে চলে গেল; আর হযরত ইবরাহিমকে (আ.) আগুনে নিক্ষেপ করা সম্ভব হলো। এই ঘটনার পরবর্তী সময়ে ঐ মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হলো এবং তাদের মাথায় তিলক পরানো হলো। যেটা বর্তমানে আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত।
যেসব মুসলিম নারী ফ্যাশনের জন্য টিপ পরে তারা হয়তো এই ঘটনা জানেন না। আর যদি জেনেও কেউ কপালে টিপ ব্যবহার করে তাহলে সেটা তার দুর্ভাগ্য; বেশ্যা-পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপের ব্যবহার হতো তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন!
মুসলিম নারীরা এই সত্য জানার পরও কি তাদের কপালে কলঙ্কের টিপ পরবেন?
[সূত্র : তাফসিরে মারিফুল কুরআন। হযরত ইবরাহিম (আ.) মূলগ্রন্থ তাবারী, তারীখ, ১ খণ্ড ১২৩-১২৪; ছালাবী আদি গ্রন্থ, কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠা: ৮১, আদি ইসলামী ইতিহাস, ইবনে কাসির] সূত্র : দৈনিক অধিকার
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...