খোকার সাহস ও গুরু
  1. rakibchowdhury877@gmail.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
  2. admin@narayanganjerkagoj.com : Narayanganjer Kagoj : Narayanganjer Kagoj
খোকার সাহস ও গুরু
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
তৃষ্ণার্থদের মাঝে শরবত বিতরণ করলেন রাগিব হাসান ম্যাজিস্ট্রেট দেখে দোকান বন্ধ করে পালালেন দোকানিরা পানির বোতল নিয়ে তৃষ্ণার্থদের পাাশে জেলা প্রশাসন ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুট : মামলা ফতুল্লায় বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিসকার নামাজ আদায় তৃষ্ণার্থদের পাশে অটোরিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন ফতুল্লায় মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের আত্মপ্রকাশ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু বৃষ্টির জন্য চোখের পানি ফেললেন হাজারও মুসল্লি ক্যাসিনোকাণ্ডের সেই সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল সিদ্ধিরগঞ্জে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ডাকাতির মালামাল সহ তিন ডাকাত গ্রেপ্তার ফতুল্লায় গাঁজাসহ আটক ১ পঞ্চবটিতে পথচারীদের মাঝে শ্রমিক ইউনিয়নের ঠান্ডা পানি ও শরবত বিতরণ

খোকার সাহস ও গুরু

মোঃ মনির হোসেন
  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০
  • ৭৪৭ বার পঠিত
খোকার সাহস ও গুরু

জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা কোথায় পেলেন এত সাহস? সকলেরই একই প্রশ্ন, অনেকেই বলছেন গুরুর সাহসেই তিনি এই অপকর্ম করেছেন। সম্প্রতি সোনারগাঁয়ের জিআর ইনিস্টিটিউশনের একটি নামফলক ভাঙ্গা নিয়ে এ ঘটনা সূত্রপাত।

জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে সোনারগাঁয়ের জিআর ইনিস্টিটিউশনের মেইন গেট ও ৯০ ফুট লম্বা বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন। ওই সময়ে স্কুলের গেটের সামনে নামফলকটি লাগানো হয়। সম্প্রতি ওই স্কুলে একটি সভায় গেলে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় পার্টি নেতা লিয়াকত হোসেন খোকার নজরে পরে নামফলকটি। এরপর তিনি রেগে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নানা ভাষায় ভৎসনা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোকা এমপি রাগাম্বিত হয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর তার লোকেরা এসে নামফলকটি ভেঙ্গে ফেলে।

নামফলক ভাঙ্গার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে অস্বীকার করেছেন লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি। সেই সাথে তিনি দাবি করেন, এ উন্নয়ন কাজ জেলা পরিষদের নয়। আমার প্রজেক্টে তিনি কেন নামফলক লাগালেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কী আমার চেয়ে উপরে?

তবে সচেতন মহলের দাবী রাজনীতিতে আনোয়ার হোসেন একজন সিনিয়র নেতা। সমাজের সব শ্রেনীর মানুষের কাছে এ আওয়ামী লীগ নেতার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে । জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর তা আরও বেড়েছে। রাজনীতি সচেতন মহলের মতে, প্রবীন এ রাজনীতিকের তুলনায় জাতীয় পার্টির নেতা লিয়াকত হোসেন খোকা আসলেই খোকা (বাবু)। সেই খোকা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনোয়ারের নাম ফলক ভেঙ্গে ভুল করেছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। তাদের মতে, নিজের নয় অন্য কারো সাহসে এমন সাহস দেখিয়েছে খোকা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম ফলক ভেঙে ভুল করেছে খোকা।

আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেন, এ ঘটনা রাজনীতির শিষ্টাচারে পরে না। আপনি শেখ হাসিনার আশ্রয়ে এমপি হয়ে শেখ হাসিনার পরীক্ষিত কর্মীকে অপমান করবেন। সেই আওয়ামী লীগ মুখবুঝে সহ্য করবে না। কথায় আছে বাঘে ধরলে ছাড়ে, কিন্তু হাসিনা ধরলে ছাড়বে না’। এখনও সময় আছে, আমরা খোকা এমপিকে বলবো ওনি যেনো নিজ দায়িত্বে পূনরায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম ফলক সেখানেই নির্মাণ করে দেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি মহাজোটের এমপি হয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম ফলক ভাঙেন তা খুবই দুঃখজনক।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে, জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী নিয়ে পুরো নারায়ণগঞ্জকে অচল করার ঘোষনা দেয়া হয়েছে। একই সাথে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার এমন আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে মহানগর আওয়ামীলীগ।

এমপি খোকা কোন সাহসে কিভাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নামফলকে আঘাত করে এমন প্রশ্ন করে অনেক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের। তারা বলেন, আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, খোকা এমপি নিজে এমন সাহস দেখাতে পারবেন না। তিনি সাহস দেখিয়েছেন তার গুরুর প্রভাবে। অতীতে ওই গুরুর নিজের রাজনৈতিক গুরু আনোয়ার হোসেনের সাথে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ন্যাক্কারজনক আচরণ করেছিলেন। আনোয়ার হোসেনের মতো সিনিয়র রাজনীতিবিদকে ধাক্কা মেরেছিলেন গুরুর অনেক অনুগতরা। তেড়ে গিয়েছিলেন গুরু নিজেও।

নিউজটি শেয়ার করুন :

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..